ঢাকা, ২২ জুলাই : কোটা আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে আসেনি। সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, দেশে কারফিউ অব্যাহত থাকলে সাধারণ ছুটি আরও বাড়ানো হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার সরকারি ছুটি আরো একদিন বাড়ানো হয়েছে। ফলে নির্বাহী আদেশে মঙ্গলবারও (২৩ জুলাই) সাধারণ ছুটি থাকবে। একই সঙ্গে বেড়েছে কারফিউর মেয়াদ। অর্থাৎ কারফিউ জারি থাকছে মঙ্গলবারেও।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পরে গত শুক্রবার বাংলাদেশে কার্ফু জারি করা হয়। আর এর আগের দিন বৃহস্পতিবার থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট। রবিবারই কোটা সংস্কার নিয়ে রায় দিয়েছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে রবিবারই স্বাগত জানিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তবে জানিয়েছিলেন, সরকার ঘোষণা না করা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন। সোমবার স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপ্রিম-নির্দেশের পর, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চ বাংলাদেশে জারি করা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে নিহতদের স্মরণে জমায়েত কর্মসূচি চলবে বলে জানানো হয়েছে মঞ্চের পক্ষ থেকে।
এদিকে, আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলা পরিস্থিতি ‘আরও শক্ত অ্যাকশন’ নিয়ে দমন করে পরিবেশ উন্নত করা হবে। এদিন এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দসহ বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করার সময়ে তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব এই অবস্থার পরিবর্তন হবে। আমরা পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত করে নিয়ে আসতে পেরেছি। অবস্থা আস্তে আস্তে আরও ভালো হবে।’ সেখানের পরিস্থিতি উন্নত হলেই কার্ফু শিথিল করা হবে বলেও জানান হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে বিএনপি-জামায়াত তাণ্ডব চালিয়েছে। পাশাপাশি তারা গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। হাসিনা বলেন, ‘আমরা কার্ফু জারি করতে চাইনি। কিন্তু যখন শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে বিএনপি এবং জামায়াত হিংসাত্মক পরিবেশ সৃষ্টি করল তখন আমরা সেনা নামাতে এবং কার্ফু জারি করতে বাধ্য করেছি।’
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, কোটা সংস্কারের দাবিতে পথে নেমে, গত মঙ্গলবার থেকে, রবিবার পর্যন্ত সে দেশে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৭৪ জন। সংবাদ মাধ্যমগুলি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, রবিবার সেদেশে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan